আরও বাড়ানো হলো গরমের ছুটি। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এইমাত্র প্রকাশিত হলো। প্রচন্ড গরম তো রয়েইছে। তবে ছুটি বর্ধিত করা হলো নির্বাচনের জন্য। এই নিয়ে পরপর দুইবার গরমের ছুটি বাড়ালো রাজ্য সরকার। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ ঘিরে প্রশ্ন। সঠিক কবে থেকে খুলছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি? পড়ুয়াদের ছুটি বাড়লেও স্কুলে যেতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এই বিষয়ে কি নির্দেশ এলো নবান্নের তরফে পুরোটা জানুন।
উল্লেখ্য, প্রথমে ৬ই মে থেকে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হওয়ার ঘোষণা করলেও দাবদাহের তীব্রতার কারণে নিম্নতর শ্রেণির পড়ুয়ারা পাছে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য গরমের ছুটি এগিয়ে এনে ২২শে এপ্রিল থেকে দিতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। তবে গরমের ছুটির মধ্যেই পড়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট শেষে ৩রা জুন থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি খুলে যাওয়ার কথা। তবে রাজ্য সরকারের নতুন আপডেট ২রা জুন গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হলেও ৩রা জুন পুরোপুরি খুলছে না রাজ্যের বিদ্যালয় গুলি।
কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, আগামী ৪ঠা জুন ভোটগণনা থাকায় থাকায় ওইদিন তো স্কুল চালানো সম্ভব নয়, যেহেতু রাজ্যের বহু স্কুলেই ভোট গণনার জন্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া ভোটপর্ব মিটে গেলেও ভোটকেন্দ্র গুলিতে প্রায় এক সপ্তাহ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া স্কুল পুরোপুরি খোলার জন্য ওই সময়টায় শ্রেণীকক্ষ পরিস্কারের জন্য উপযুক্ত সময় ভাবা হয়েছে।
৩রা জুন থেকে আরও ১ সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে গরমের ছুটি। অর্থাৎ ৯ই জুন পর্যন্ত অতিরিক্ত ছুটি থাকছে। আগামী ১০ই জুন সোমবার থেকে ফের রাজ্যের স্কুলগুলোতে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু হতে চলেছে। তবে কেবল পড়ুয়াদের ১০ তারিখ থেকে বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ৩রা জুন থেকেই হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
তবে রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে খামখেয়ালীপনা বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা সংগঠন এবং শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। তাদের যুক্তি, মাত্র তিনশো ভোটকেন্দ্রের জন্য রাজ্যের বাকি হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় কোটিরও বেশি পড়ুয়াদের পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত করার কোনও মানে হয় না। এমনিতেই এখনো একাদশ শ্রেণির সেমেস্টারের নতুন সিলেবাস যুক্ত বই বাজারে না আসায় অনলাইন ক্লাসও শুরু করতে পারেনি স্কুলগুলি।
এমতবস্থায় এত অল্প সময়ে সিলেবাস শেষ করে সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া কিকরে সম্ভব হবে সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষা মহলে।
রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হয়ে থাকুন।
টেলিগ্রাম:- Link
গুগল নিউজ:- Link
হোয়াটসঅ্যাপ:- Link