২০১৬ -র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি শিক্ষক, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের মধ্যে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে একেবারে চাকরি চলে যায় রাজ্যের ছাব্বিশ হাজার চাকরিজীবীদের। ২০১৬ প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও জাস্টিস মোহম্মদ রশিদি। হাইকোর্টের সেই রায় এদিন খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক নির্দেশের ওপর এবার স্থগিতাদেশ জারি করলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কি রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট পড়ুন বিশদভাবে।

   

কলকাতা হাইকোর্টের ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারারা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায় হঠাৎ করে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে ক্লাসে পড়াবে কে? স্কুল সার্ভিস কমিশনের যুক্তি বেশিরভাগই যোগ্যভাবে চাকরি পেয়েছেন, তারা হোমলোনও নিয়েছেন, চাকরি বাতিল হলে তারা কোথায় যাবেন? এবং চাকরিহারারাদের একটাই দাবি, অযোগ্যদের বের করে দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এখন দেশে নির্বাচন চলছে, এই মূহুর্তে দুর্নীতিবাজদের বিরূদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কোর্টের নির্দেশ মানতে পারবে না সরকার। সেজন্য যোগ্য-অযোগ্য বাছাই পর্ব শুনানির জন্য ১৬ই জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে চাকরিহারাদের হকের চাকরি ছিনিয়ে নিতে। তবে যারা দুর্নীতির সাথে যুক্ত তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার তদন্ত করতে পারে সিবিআই।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায় এসএসসি যদি যোগ্য অযোগ্য চাকরিজীবী বাছাইয়ে পরিস্কার ও যথাযোগ্য প্রমাণ দিতে পারে এবং সমস্ত পরীক্ষার্থীর ওএমআর প্রকাশ্যে আনতে পারে তবে ২০১৬ এর পুরো প্যানেল বাতিল করবার প্রয়োজনই থাকবে না। যাদের ১২ শতাংশ সুদ সহ টাকা ফেরত দিতে বলেছে কোর্ট, সেই রায়ের ওপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম আদালত।

latest-exclusive-update-on-ssc-2016-panel-cancellation

আরও পড়ুনঃ- গরমের ছুটি কাটিয়ে তড়িঘড়ি খুলে যাচ্ছে রাজ্যের বিদ্যালয় গুলি। কবে থেকে খুলছে স্কুল?

উল্লেখ্য, SSC হাইকোর্টে ৫,২৫০ জনের নিয়োগে দুর্নীতির কথা ওঠালেও তদন্তের পরে সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বীকার করেছে, মোট ৮,৮৬১ জনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। যতদিন না দুর্নীতি প্রমাণিত হচ্ছে ততদিন অর্থাৎ ১৬ই জুলাই পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষকেরা। যোগ্য চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়াতে তাদের বেতনও দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার সূত্রে আপডেট। তবে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তকদের বেতন ফেরত দিতে হবে বা সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া শাস্তি মাথা পেতে নিতে হবে, সর্বোচ্চ আদালতে এমন মুচলেকা দেন চাকরিপ্রার্থীরা।

২০১৪ ও ২০১৭ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, ২০১৬ এর নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি প্যানেল এর মেয়াদ, নিয়োগ সংক্রান্ত যে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সবার আগে পেতে চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ অথবা অন্য যেকোনো সামাজিক মাধ্যম গ্রুপ এ জয়েন হতে পারেন। ধন্যবাদ। তথ্যটি যতটা সম্ভব শেয়ার করুন।

হোয়াটসঅ্যাপ:- Link

টেলিগ্রাম:- Link

ফেসবুক:- Link

গুগল নিউজ:- Link